ডেস্ক নিউজ
প্রকাশিত: ০২/০৬/২০২৩ ১০:৩৩ এএম

জুমার দিনের একটি বিশেষ ফজিলত হলো জান্নাতবাসীদের জন্য এটি মহা আনন্দের দিন। জান্নাতে প্রতি জুমাবারে বিপুল প্রাপ্তির সমাহার ঘটবে। আল্লাহ তাআলার বিশেষ ব্যবস্থাপনায় নবী-রাসুল, নেককার বান্দাদের মিলন-উৎসব হবে। এর মধ্যে আল্লাহ তাআলার দিদার লাভ সবচেয়ে বড় নেয়ামত। একারণেই ফেরেশতারা জুমার দিনকে ইয়াওমুল মাজিদ তথা অনন্য প্রাপ্তিদিবস নামে স্মরণ করেন।

আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, জিব্রাইল (আ.) শুভ্র আয়নার মতো একটি জিনিস নিয়ে আমার কাছে এসেছেন। আয়নাটিতে একটি কালো দাগ। আমি বললাম-এটি কী? জিব্রাইল (আ.) বললেন, এটি হলো জুমার দিন। এই দিনকে আল্লাহ তাআলা আপনার এবং আপনার উম্মতের জন্য ঈদের দিন বানিয়ে দিয়েছেন। সুতরাং আপনারা ইহুদি ও নাসারা থেকে অগ্রগামী। (তাদের বিশেষ ইবাদতের দিন শনি ও রবিবার, যা জুমার দিনের পরে আসে) এই দিনে একটি সময় আছে, যে সময় বান্দা আল্লাহর কাছে যে কল্যাণই প্রার্থনা করে আল্লাহ তাকে তা-ই দান করেন। নবীজি (স.) বলেন, আমি জিজ্ঞেস করলাম- জুমার দিনকে কালো দাগ দিয়ে চিহ্নিত করা হলো কেন?

জিব্রাইল (আ.) জবাব দিলেন- এটি কেয়ামত দিবস তা এই দিনেই সংঘটিত হবে। আখেরাতে জুমার দিনকে আমরা ইয়াওমুল মাজিদ নামে স্মরণ করব। নবী (স.) বলেন, আমি প্রশ্ন করলাম- ইয়াওমুল মাজিদ কী? জিব্রাইল (আ.) উত্তর দিলেন- জান্নাতে আল্লাহ তাআলা প্রশস্ত ও সুগন্ধময় একটা উপত্যকা বানিয়েছেন এবং এতে তিনি শুভ্র মেশকের একাধিক টিলা স্থাপন করেছেন। জুমার দিন এলে আল্লাহ তাআলা এই উপত্যকায় অবতরণ করবেন। তখন সেখানে নবীগণের জন্য স্বর্ণের মিম্বরসমূহ রাখা হবে, শহীদগণের জন্য মুক্তার অনেক চেয়ার পাতা হবে এবং জান্নাতি হুরেরা আপন আপন কক্ষ থেকে অবতরণ করবে। এরপর সকলে মিলে আল্লাহ তাআলার প্রশংসা ও মাহাত্ম্যের স্তুতি গাইতে থাকবে। জিব্রাইল (আ.) আরো বললেন, এরপর আল্লাহ তাআলা ঘোষণা করবেন, (হে ফেরেশতারা!) আমার বান্দাদের (বিশেষ পোশাক) পরিধান করাও। সে অনুযায়ী তাদের সজ্জিত করা হবে। তখন আল্লাহ তাআলা নির্দেশ দেবেন, আমার বান্দাদের জন্য (বিশেষ) খাদ্য পরিবেশন কর।

আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক তাদের জন্য বিশেষ ভোজনের ব্যবস্থা করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা বলবেন, আমার বান্দাদের সামনে (বিশেষ) পানীয় উপস্থিত কর। সে হিসেবে তাদের সামনে পানীয় পরিবেশন করা হবে। এরপর আল্লাহ তাআলা আদেশ করবেন, আমার বান্দাদের আতর-খোশবু লাগিয়ে দাও। তখন তাদেরকে সুরভিত করা হবে। এবার আল্লাহ তাআলা জিজ্ঞেস করবেন, (হে আমার বান্দারা!) তোমরা আমার কাছে কী চাও?

তারা বলবে, হে আমাদের রব! আমরা কেবল আপনার সন্তুষ্টি কামনা করি। আল্লাহ তাআলা উত্তর দেবেন, আমি তোমাদের প্রতি রাজি হয়ে গেছি। (তাবারানির বর্ণনায় আছে, অতঃপর আল্লাহ তাআলা তাদের জন্য এমন এমন নেয়ামতের দ্বার উন্মুক্ত করবেন, যা কখনো কোনো চোখ দেখেনি এবং কোনো হৃদয় কল্পনা করেনি।) তারপর সবাইকে নিজ নিজ স্থানে চলে যাওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলা নির্দেশ করবেন। সকলে আপন আপন জান্নাতে চলে যাবে এবং হুরেরা ওসব কক্ষে আরোহণ করবে, যার প্রত্যেকটিই সবুজ (মূল্যবান রত্ন) পান্না বা লাল ইয়াকুতের তৈরি। (মুসনাদে আবু ইয়ালা: ৪২২৮; মুজামুল আওসাত, তাবারানি: ৩/৫৫, হাদিস: ২১০৫)

পাঠকের মতামত

তুরস্কে কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ

ইসলামী ঐতিহ্যের স্মৃতি বিজড়িত তুরস্কে অনুষ্ঠিত ৯ম আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় প্রথম হলেন বাংলাদেশি হাফেজ, ...